প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চিও জমি পড়ে না থাকে এই লক্ষ্যে কাজ করছে খুলনার ফুলতলা উপজেলা কৃষি বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে চাষের আওতায় আনা হচ্ছে পতিত জমি। ঘেরের পাড়ে, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জুট মিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গাতে অনাবাদি পতিত জমিতে যথেষ্ট করে ব্যবহার করায় উপজেলাতে টার্গেট পূরণ হয়েছে তেল জাতীয় ফসলে। প্রান্তিক কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের ২শ’ হেক্টর টার্গেট ছিলো তেল জাতীয় ফসলের, কিন্তু আমরা ৩৫ হেক্টর বেশি করেছি।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী (৩ নং) ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালমা সুলতানা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা, ফলোআপ, বিজ, সারসহ হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে মশিয়ালী ব্লকের ২৪ হেক্টর এর মধ্যে ২১ হেক্টর জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া অনাবদি পতিত জাগাতে কৃষি অফিসের সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করিয়ে তিনি সাফল্য দেখিয়েছেন। তেলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরিষা করানো, বিভিন্ন ফল বাগান, ঘেড়ের পাড়ে ব্যাপক আকারে সরিষা আবাদ করে নজর কেরেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আরো বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলার প্রতিটি ব্লকের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। সাময়িক পতিত জমিতে আবাদের জন্য কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে জোরদার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সরকারিভাবে বীজ ও সার সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, কোথাও যাতে এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি না থাকে তার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আরও বলেন, কোনো জমি পতিত বা ফেলে রাখা যাবে না। বাড়ির উঠানে হলেও দুটো লাউয়ের চারা লাগাতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম