পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানদার মোঃ ফারুক হাওলাদারকে (৫৫) মারপিট, টাকা ছিনতাই, নির্যাতনের মাধ্যমে উল্টো ৬ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে এমন স্বীকারোক্তি মোবাইল ফোনে ধারণ, দোকান ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৮টায় ফুলতলার জামিরা পশ্চিমপাড়ার নাজিম মোল্যার পুত্র ইকবাল মোল্যার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার (৩০ মে) ফারুক মোল্যা বাদি হয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সম্পাদক ফিরোজ মোল্যাসহ ৬ ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪ /৫ ব্যক্তিকে আসামী করে ফুলতলা থানায় মামলা (নং-১৭) দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কাটেঙ্গার মাঝেরপাড়া এলাকায় মৃতঃ মোবারেক হাওলাদারের পুত্র ফারুক হাওলাদার তার কাঁচা মাল এবং চায়ের দোকানের পাওনা টাকার তাগাদা দেওয়ায় জামিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মোল্যার পুত্র জাফর মোল্যার সাথে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় জামিরা গ্রামের নাজিম মোল্যার দুই ছেলে আবজাল মোল্যা (৩০) ও ইকবাল মোল্যা (৩৮), মোঃ মুনসুর আলীর ছেলে রায়হান পারভেজ (২৫), মৃতঃ মজিদ মোল্যার ছেলে ফিরোজ মোল্যা (৫০), জাফর মোল্যা (২৮) ও ইয়াসিন মোল্যা (২৫) চায়ের দোকানদার ফারুক হাওলাদার ও তার দুই ছেলে সুমন আর রোহান হাওলাদার কে এলোপাতাড়ি মারপিট, দোকান ভাংচুর ও ১৪ হাজার টাকা ছিনতাই করে।
এ ঘটনার পর আবার ফারুক হাওলাদারকে জোর পূর্বক মটরসাইকেলে (অজ্ঞাত) অপহরণ করে জামিরা গ্রামের ইকবালের দোকানের সামনে আটকে রাখে। এ সময় ফিরোজ মোল্যাগং তাকে নির্যাতন ও মারপিট করে উল্টে জাফর মোল্যার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে বলে মোবাইল ফোনে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে।
খবর পেয়ে রাত ৩টায় ফুলতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতাবস্থায় ফারুক হাওলাদারকে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি এবং আসামী মোঃ আবজাল মোল্যা ও রায়হান পারভেজকে গ্রেপ্তার করে।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ী ফারুক অপহরণ ও মারপিট ঘটনায় মামলা হলে এজাহারভুক্ত ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।