ফুলতলা উপজেলার মিলন ফকির হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির শীর্ষ নেতা শিমুল ভুইয়া ওরফে ফজল মোহাম্মাদ ভুইয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈদ ও তার ভাইপো তানভীর ভুইয়াকে।
রোববার খুলনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘ছ’ মোঃ আলতাফ মাহমুদের এজলাসে তাদের দু’জনকে হাজির করা হয়। আদালত তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এরআগে তাদের ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে খুলনায় আনা হয়। এ সময়ে আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলতলা থানার এস আই নাসির উদ্দিন এ বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে একটি আবেদন করেন। মিলন ফকির হত্যাকাণ্ডে শিমুল ভুইয়া ও তার ভাইপো তানভীর ভুইয়ার সম্পৃক্ততা আছে বলে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য আদালতে আবেদন করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক নাসির।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিলন ফকির ফুলতলা উপজেলার আলকা পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ ওহাব ফকিরের ছেলে। তিনি ঠিকাদারী ও বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি মিলন ফকির তার ছেলে ইমনকে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে ফজরের নামাজের জন্য স্থানীয় একটি মসজিদে যান। নামাজ শেষে তিনি শারীরিক কসারত করতে বের হন। ব্যায়াম শেষে তিনি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে জনৈক নাজমুলের দোকানে নাস্তা করেন। এর কিছু সময়ে পর আলকা পূর্বপাড় জনৈক মনিরুজ্জামানে মা টেলিকম এন্ড কনফেকশনারী দোকানে বসে হিদিয়া এ এন এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শীতল কান্তি মন্ডলের সাথে কথা বলছিলেন। এমন সময়ে দুস্কৃতিকারী মিলন ফকিরকে উদ্দেশ্যে করে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করে। গুলি তার মাথা, বুক ও ডান হাতে বিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ভৈরব ঘাট ইজারা নেওয়ার সূত্র এ হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। এরআগে অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী এলাকার মোঃ আব্দুল কাশেম মোল্লার ছেলে ও ফুলতলা উপজেলার তাজপুর এলাকার মৃত আহমেদ আলী মোল্লার ছেলে মোঃ হাবিব মোল্লা গ্রেপ্তার হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি/এসজেড