বিশ্বকাপ জিতলেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পারেনি রানার্সআপ হওয়া ফ্রান্সও। তবে বিশ্বকাপের পর হালনাগাদ করা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর স্থান ধরে রেখেছে ব্রাজিল। ফিফার পরবর্তী র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হবে ২০২৩ সালের এপ্রিলে। যার অর্থ, আগামী পাঁচ মাস শীর্ষে থাকছেন নেইমাররা।
আজ প্রকাশিত ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আগের অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশও। সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ দল ২১১ সদস্যের মধ্যে ১৯২তম স্থানে আছে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ শুরু করেছিল তৃতীয় স্থানে থেকে। রানার্সআপ হওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পের দল ছিল চারে। দুটি দলের যে কেউই ফাইনালে ১২০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচ জিততে পারলে শীর্ষে উঠে যেত।
কিন্তু ফলের জন্য ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ানোয় ব্রাজিলের শীর্ষ স্থান অক্ষুণ্ন থেকে যায়। আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স দুই দলই এগিয়েছে এক ধাপ করে, বর্তমান অবস্থান যথাক্রমে দুই ও তিনে।
মেসি, এমবাপ্পের দলকে সেরা তিনে জায়গা দিয়ে চারে নেমে গেছে বেলজিয়াম। কেভিন ডি ব্রুইনা, এডেন হ্যাজার্ডদের দল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ায় ২ থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে গেছে। র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের নৈপুণ্যে র্যাঙ্কিংয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে ক্রোয়েশিয়া আর মরক্কোর। সেমিফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া ৫ ধাপ এগিয়ে এখন সাতে। আর ১১ ধাপ টপকে মরক্কো আছে ১১–তে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সেমিফাইনাল খেলা মরক্কোই সবচেয়ে এগিয়ে।
এ ছাড়া ১১ ধাপ টপকে অস্ট্রেলিয়া ২৭ এবং ১০ ধাপ টপকে ক্যামেরুন ৩৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারানো সৌদি আরব ২ ধাপ এগিয়ে আছে ৪৯ নম্বরে।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিং জাপানের। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দেশটি আছে ২০ নম্বরে, দ্বিতীয় সেরা ২৪ নম্বরে থাকা ইরান। এশিয়ায় বাংলাদেশের পরে আছে যথাক্রমে পাকিস্তান (১৯৫), পূর্ব তিমুর (১৯৭), গুয়াম (২০৫) ও শ্রীলঙ্কা (২০৭)।
হালনাগাদ করা পরবর্তী ফিফা র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হবে ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল।
সেরা দশে যারা:
ব্রাজিল (১), আর্জেন্টিনা (২), ফ্রান্স (৩), বেলজিয়াম (৪), ইংল্যান্ড (৫), নেদারল্যান্ডস (৬), ক্রোয়েশিয়া (৭), ইতালি (৮), পর্তুগাল (৯), স্পেন (১০)।