ব্যাপক নাটকীয়তায় ঠাসা টেস্টে শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলো না পাকিস্তানের। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০১ রানে হারতে হলো। মাউন্ট মুঙ্গানুয়ে বুধবার সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতলেন কিউইরা। ম্যাচটা ভালোই জমেছিল। ফাওয়াদ আলমের দৃঢ় ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ড্র করতে চলেছে পাকিস্তান। কিন্তু ১১ বছর পর ফাওয়াদের টেস্ট সেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত বিফলে গেল!
আজ পঞ্চম দিনে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের শরীরী ভাষাও ছিল প্রচণ্ড হতাশ। বাঁহাতি ফাওয়াদ আর ডানহাতি রিজওয়ান তাদের ব্যাটের প্রতিরোধেই তৈরি করেছিলেন সেই হতাশা। পাকিস্তানি ড্রেসিংরুমে তখন প্রত্যাশা। এই দুজন যেভাবে দুটি সেশন পার করে দিয়েছেন, তাতে জয় না হোক ড্রয়ের আশা তো করা যেতেই পারে। এই দুজনের জুটি থেকে ১৬৫ রান আসে।
চা–বিরতির পরই সেঞ্চুরি করে ফেলেন ফাওয়াদ। রিজওয়ানও তাকে দিয়ে যাচ্ছিলেন দারুণ সঙ্গ। কিন্তু ১০৩তম ওভারে কাইল জেমিসনের বলে রিজওয়ান যখন রিভিউয়ে আউটের সংকেত পেলেন, তখনই বুকে কাঁপন ধরায় পাকিস্তান শিবিরে।
৬০ রানে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের আউটটি আক্ষরিক অর্থেই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। কিন্তু আশা ছিল, ফাওয়াদ যে তখনও ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফাওয়াদ সেঞ্চুরি করেছেন ঠিকই। কিন্তু সেঞ্চুরিটা বড় করতে পারলেন না। ৩৯৬ মিনিট ব্যাটিং করে ২৬৯ বল মোকাবিলা করে রান করেছেন ১০২। বাউন্ডারি ছিল ১৪টি। ১০২ রানেই নিল ওয়াগনারের বলে উইকেটকিপার বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ড্র করার উচ্চাশা মিইয়ে যায়।
শেষ দিনের শেষ আধাঘণ্টা বাকি থাকতে ম্যাচের ফয়সালা হয়। আর মাত্র ৪.৩ ওভার ব্যাট করতে পারলে পাকিস্তান এই ম্যাচ ড্র করতে পারত। ২৭১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের শেষ ইনিংস। ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৭৩ রান। দুই টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে গেল ১-০ তে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড ৪৩১ ও ১৮০/৫ ডিক্লেয়ার্ড। পাকিস্তান ২৩৯ ও ২৭১। ফল: নিউজিল্যান্ড ১০১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন