বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ভারত। ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। তবে কামিন্স-স্টার্কদের দাপটে সেই ধারা খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে অলআউট হয় রোহিত শর্মার দল।
রোববার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কারণটা পরিষ্কার। শিশিরের প্রভাব কাজে লাগিয়ে রান তাড়ার কাজটা সহজ করা।
ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুতে উইকেট হারায়। তরুণ ওপেনার গিল ৪ রান করে ফিরে যান। দলের রান ততক্ষণে ৩০। অন্য ওপেনার রোহিত শর্মা এই ম্যাচেও ঝড়ো শুরু করেন। তবে ফিফটির আগে আউট হন তিনি। ফিরে যান ৩১ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৭ রান করে। পরপরই সাজঘরে ফিরে যান শ্রেয়াস আয়ার। তিনি ৪ রান করেন। ভারত ১০.২ ওভারে ৮১ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিলেও পুরোপুরি সামাল দিতে পারেননি বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। তারা ফিফটি পেলেও দলকে ভালো সংগ্রহের পথে তুলে নিতে পারেননি। রাহুলের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি দেন বিরাট। তিনি খেলেন ৬৩ বলে চারটি চারে ৫৪ রানের ইনিংস।
এরপর ক্রিজে আসা রবিন্দ্র জাদেজা ব্যর্থ হন। তিনি ৯ রান করেন। ভারত ১৭৮ রানে হারায় ৫ উইকেট। দলের রান দুইশ’ হতেই সাজঘরে ফিরে যান কেএল রাহুল। তিনি ১০৭ বলে মাত্র একটি চারের শটে ৬৬ রান করেন। সেখান থেকে ২১৪ রানে অষ্টম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার মিশেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স দারুণ বোলিং করেছেন। স্টার্ক ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক কামিন্স ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান খরচা করে ২ উইকেট নিয়েছেন। হ্যাজলউড ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।