ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের মনোরম পহেলগাম রিসোর্টে পর্যটকদের উপর সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই ঘটনায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) এবং সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স (এপিএইচসি)। সংগঠন দুটি এই হামলার জন্য মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে দায়ী করেছে।
এক বিবৃতিতে শিখ ফর জাস্টিস পাহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের হত্যার জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ এবং মোদি প্রশাসনকে দায়ী করেছে।
এতে এসএফজে নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। কাশ্মীরি স্বাধীনতা আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতীয় সংস্থাগুলির পরিচালিত এটি একটি সাজানো হামলা (ফলস ফ্লাগ অপারেশন) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পান্নুন প্রশ্ন তোলেন, হিন্দুদের হত্যা করে কি কাশ্মীরের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত হবে? বলেন, এই ধরনের ঘটনা থেকে কেবল মোদি সরকারই লাভবান হবে। একজন শিখ হিসেবে আমি এই ধরনের প্রাণহানির যন্ত্রণা বুঝতে পারি।
এসএফজে নেতা অতীতের একই ধরণের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সফরের সময়ও ভারতীয় সংস্থাগুলি কূট কৌশলে আন্তর্জাতিক মতামতকে নিজেদের পক্ষে আনতে এই ধরনের আক্রমণ চালিয়েছিল।
সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স হামলার ঘটনায় একই ধরনের উদ্বেগ জানিয়েছে। পহেলগামে হামলাকে “অমানবিক এবং ঘৃণ্য” বলে অভিহিত করে ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
হুরিয়ত নেতারা দাবি করেছেন, ভারতীয় সংস্থাগুলি এই হামলার পেছনে রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরি মুক্তি সংগ্রামকে খাটো করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
হুরিয়তের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশব্যাপী বিক্ষোভে উদ্বিগ্ন মোদি সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে এই ষড়যন্ত্র করেছে।”
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ধরণের সাজানো হামলায় জড়িত থাকার “অকাট্য প্রমাণ” হিসেবে চাট্টিসিংপোরা গণহত্যার ঐতিহাসিক নজির তুলে ধরেন হুরিয়ত নেতারা এবং পহেলগাম আক্রমণকে সেই অশুভ এজেন্ডার ধারাবাহিকতা বলে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: ২৪ নিউজএইচডি টিভি চ্যানেল
খুলনা গেজেট/এএজে