ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বসতবাড়ি, দোকান, মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভাঙচুর ও বিভিন্ন বাড়িঘরে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
শনিবার (৭ মে) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান, অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ সমর্থক মান্নান মোল্লা। তারা দুজনই ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থক।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, শুক্রবার গংগাধরদী গ্রামের মৃত চুন্নু মুন্সীর ফয়তা উপলক্ষে তার পরিবার এলাকার লোকজনের দুপুরের খাবারের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে গ্রামের দুপক্ষের লোকদের দাওয়াত দেওয়া হয়। দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে মান্নান মোল্লাপক্ষের ইয়াছিন নামের এক ব্যক্তিকে মতিয়ারপক্ষের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পরে দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল ৭টার দিকে দুপক্ষের শত শত লোক ঢাল, সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আরও ২০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় মান্নান মোল্লা, মামুন শেখ, শাজাহান শেখ, জলিল চোকদারের বাড়িসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২টি বাড়ি, সুজন চোকদারের মোটরসাইকেল ও পিকআপ, জসিম মিয়ার দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ভাঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত শাজাহান শেখ জানান, তার বাড়ি থেকে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২৫ মণ পেঁয়াজের বীজ লুট করে নিয়ে গেছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন জসিম শেখ (৩২), লুৎফর মিয়া (৪৫), সুজন মোল্লা (২৪)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।