ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় লকডাউনের সময় দায়িত্ব পালনকালে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় যুবায়ের হোসেন (১৭) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি রামকান্তপুর। এছাড়া পুলিশের একজন এসআই এবং দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে থাকা এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তির গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রাখে। এক পর্যায়ে সরকারি গাড়ি, উপজেলা পরিষদ ভবন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে আগুন দেয় তারা। এছাড়া অন্যান্য সম্পত্তিও ভাঙচুর করা হয়। দীর্ঘ সময় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। অবশেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি উপস্থিত হন।
জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাঁর কোমড়ে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তাঁর কোমড় ভেঙে যায়। আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে আরো গ্রামবাসী সেখানে জড়ো হয়। এরপর ঘটনাস্থলে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত এলাকাবাসী পুলিশের ওপরেও হামলা করে। এতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।
সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হীরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হয়। হামলায় এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। তিনি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/কেএম