বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে জমি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে এক দরিদ্র ভ্যানচালকের পরিবার। মাথা গোঁজার ঠাই গোছাতে ধার দেনার সাথে গোছানো টাকা খুইয়ে পথে বসেছে বাবা আর ছেলে।
স্থানীয় ইউপি গ্রাম আদালতে মামলা করে কিছু টাকার সমাধান মিললেও বাকি টাকা ফেরত পাবার পথ এখনো পাকাকরণ হয়নি। জমি বা টাকার কোনটাই না পেয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে তাদের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ এলাকার সচেতনমহল পাশে না দাঁড়ালে তিনি প্রবঞ্চনার শিকার হবেন বলে মনে করছে ভুক্তভোগী।
সরেজমিনে জানা যায়, ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের বালিয়াডাংগা গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক খান আবুল কাসেম ও তার ছেলে শরীফুল তাদের প্রতিবেশী আঃ মান্নান চার কাঠা জমি বিক্রি করবে জানতে পেরে ওই জমি কেনার আগ্রহ দেখান। আঃ মান্নান নিজেও কাসেমের ভাই হাছান ও ছত্তারকে জমি বেচার বিষয়টি জানান। বৃদ্ধ কাসেম ও তার ছেলে শরীফুল মধ্যস্থতাকারী হাছান মারফত মান্নানকে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট দুই লাখ আশি হাজার টাকা দেয়। টাকা পাওয়ার পর মান্নান জমি বুঝে না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করলে শরীফুল পিলজংগ ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে মামলা করেন। আঃ মান্নান মামলায় হারেন এবং শরীফুলকে ৭০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন।
কাসেমের অভিযোগ করে বলেন, আমি মান্নানের কাছে আরো দুইলাখ দশ হাজার টাকা পাই যা ফেরত পাইনি। করোনাকালীন সময়ে কোথাও স্বাভাবিক কাজ কর্ম না হওয়ায় গ্রাম আদালতের বাকি দাবি দাওয়ারও কোন নিষ্পত্তি হয়নি।
আঃ মান্নান জানিয়েছেন, আমি তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নিইনি। ৭০ হাজার টাকা ফেরতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ওটা আমি বিপদে পড়ে দিয়েছি।
আবুল কাসেমের ভাই হাছান বলেন, মান্নানকে আমি বিভিন্ন সময়ে আমার হাতে করে মোট দুই লাখ আশি হাজার টাকা দিয়েছি।
জমি অথবা টাকার কোনোটাই না পাওয়া দরিদ্র পিতাপুত্র স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মুঠোফোন বন্ধ থাকার কারণে গ্রাম আদালতে মামলার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশের বক্তব্য গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম