প্রেসিডেন্টস কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চমক দেখিয়েছিল নাজমুল একাদশ। শুরুতে খেই হারিয়ে ফেললেও ঠিকই পরাজিত করে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে। শুরুর এই ছন্দ ধরে রাখতে মরিয়া নাজমুল বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন একাদশ। প্রতিপক্ষ প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া তামিম ইকবাল একাদশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বেলা দেড়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল নাজমুল একাদশ। ম্যাচটি বেশ জমেছিল। আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৪৭.৩ ওভারে ১৯৬ রানে অল আউট হয়। জবাবে ৪১.১ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শান্ত একাদশ। যদিও শুরুটা ছিল তাদের বাজে। কারণ ৭৯ রানের মধ্যে দলটি হারায় ৫ উইকেট। যার মধ্যে ছিল সৌম্য, সাইফ, শান্ত ও মুশফিকুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে চমক দেখান ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটি তোলে ১০৫ রান। ৬৭ বলে ৫২ রানে হৃদয় সাজঘরে ফিরলেও ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় উপহার দেন শুক্কুর।
তামিম ইকবাল একাদশের শুরুটা খুব বাজে। মাহমুদউল্লাহ একাদশের সঙ্গে তারা হারে ৫ উইকেটে। আগে ব্যাট করতে নেমে তামিমরা অল আউট হয়েছিল মাত্র ১০৩ রানে। সেখানে মাহমুদউল্লাহ একাদশ শূন্য রানে তিন উইকেট খোয়ালেও মুমিনুল হক ও সোহানুর রহমান সোহানের ব্যাটে জয় পায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি তাই তামিম ইকবাল একাদশের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর। হারলে ফাইনালের উঠার পথ খুব কঠিন হয়ে যাবে।
কিন্তু তামিমদের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য পাখির চোখ করে আছে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। বুধবার মিরপুরে এই ম্যাচ উপলক্ষ্যে কথা বলেন প্রথম ম্যাচে ৫২ রান করা নাজমুল একাদশের তৌহিদুল আলম হৃদয়। যেখানে তিনি তামিম একাদশকে সমীহ করে কথা বললেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মাঠে ক্রিকেট ফেরার পর সংবাদ মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আসার কারণে অনেক কথাই বলেছেন হৃদয়। এ প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে। অনেকদিন পর আমরা মাঠে ফিরতে পেরেছি। এবং এরকম একটা বড় টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে ভালো খেলতে পেরেছি। কিন্তু একটু নার্ভাস ছিলাম, যেহেতু অনেকদিন পর কোন ম্যাচ খেলার বড় সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে চেষ্টা করছিলাম, কীভাবে সুযোগগুলো কাজে লাগানো যায়। ভালো লাগছে পরিকল্পনা মাফিক ব্যাটিং করতে পেরেছি।’
মান সম্পন্ন বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে যেখানেই খেলি না কেন, নিজে থেকেই চাই কোয়ালিটি বোলারদের মুখোমুখি হতে। কারণ কোয়ালিটি বোলারদের বিরুদ্ধে রান পেলে অনেক আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। যেহেতু বড় একটা টুর্নামেন্ট চলছে, চেষ্টা থাকছে ভালো করার, যাতে নিজেকে ফোকাস করা যায়।’
নিজেদের টিম প্রসঙ্গে হৃদয়ের মূল্যায়ন, ‘সবই ভালো। তবে আমাদের টিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো হলো ফিল্ডিং সাইড। সবাই অনেক অ্যাক্টিভ থাকে, সবাই মাঠে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করে। তরুণরা আছেন। আমাদের টিমে আছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম ভাই। উনি বাংলাদেশের একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। উনি টিমে থাকা মানেই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আশা করি দ্রুতই বড় ইনিংস খেলবেন তিনি। সব মিলিয়ে ভালো কিছু করব আমরা।’
খুলনা গেজেট/এএমআর