খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

প্রেম করে বিয়ে, অতপর অপহরণ মামলার আসামী!

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলায় প্রেম করে গোপনে বিয়ে করায় অপহরণ মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে এক যুবক। উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিপংকর বাওয়ালীর করা মামলায় গ্রেফতার একই এলাকার মুজাহিদুল ইসলাম। শনিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ মামলায় ৩ আসামীর মধ্যে একজন আটক হলেও বাকি দু’জন পলাতক।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, বুড়িরডাঙ্গা এলাকার দিপংকর বাওয়ালীর কলেজ পড়ুয়া কন্যা স্কুল জীবন থেকেই পছন্দ করতো প্রতিবেশী মুজাহিদুল ইসলাম। এর জেরধরে তাদের বাড়ীতেও যাতয়াত ছিল। তবে কলেজে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো মোজাহিদ। মুজাহিদের মা-বাবাকে বহুবার এঘটনা অবহিত কররেও কোন প্রতিকার পাইনি ভুক্তভোগী পরিবারটি। গত ২০ জুন সকাল ৬টার দিকে কলেজ পড়ুয়া কন্যা ঘোরাফেরা করার উদ্দেশ্যে বাড়ীর সামনের রাস্তায় বের হলে আগে থেকেই ওৎ থাকা মুজাহিদুল ইসলাম, বাবা অহিদ শেখ ও আসমা বেগমসহ অন্যান্যদের সহায়তায় জোরপুর্বক মটরসাইকেল যোগে অপহরন করে নিয়ে আটকে রাখে বলে মামলায় উল্লেখ করে। পরে মেয়ের বাবা দিপংকর বাওয়ালীর আসামী মুজাহিদুল ইসলামের বাবা-মা ও আত্মীয়দের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়েকে ফেরত দিবে বলে বার বার সময় নিয়ে কালক্ষেপন করে। কিছুদিন যাওয়ার পরে মেয়েকে ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা মুলক কথাবার্তা বলে এবং লোকজনের মাধ্যমে তাদের হুমকিধামকি দেয় বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করে দিপংকর বাওয়ালী। এ ব্যাপারে বহুদিন অপেক্ষার পরেও মেয়েকে ফেরত না পেয়ে ১১ আগষ্ট দিপংকর বাওয়ালী বাদি হয়ে মুজাহিদুল ইসলাম (২০), বাবা অহিদ শেখ (৫০) ও মা আসমা বেগম (৪৫) কে আসামী করে মোংলা থানায় নারী নির্যাতন ও অপহরন মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মুজাহিদুল ইসলামের পিতা অহিদ শেখ জানায়, দিপংকরের মেয়ে তার ছেলে মুজাহিদের সাথে স্কুল জীবন থেকে দীর্ঘদিন প্রেম। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রয়ারী তার মেয়ে সেচ্ছায় আমার ছেলের সাথে চট্টগ্রামে আমাদের কাছে চলে যায়। সে সময় মেয়ের বাবা ও মাকে খবর দিয়ে তাদের কাছে ফেরত দেয় এবং তারা একটি অঙ্গিকারনামা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে আসে। পরে বহুবার ছেলে মুজাহিদের সাথে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। শেষে ২০ জুন মেয়ের নিজের ইচ্ছায় চট্টগ্রামে চলে আসে। কাগজপত্রের মাধ্যমে ধর্মান্তর হয়ে বিয়ে করে তারা।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানায়, ১১ আগস্ট একটি অপহরন মামলার সুত্রধরে তিনজনের মধ্যে মূল আসামী মোজাহিদুল ইসলামকে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়। তাকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।

 

খুলনা গেজেট / হাসান/ এআইএন / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!