যশোর শহরের চুড়িপট্টির গৃহবধূ প্রিয়ন্তী দে’কে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার নিহতের পিতা খুলনা রূপসার তালিমপুর গ্রামের দিলীপ চন্দ্র দে বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা আছে কিনা তার প্রতিবেদন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে।
মামলার অভিযুক্তরা হলো, নিহতের স্বামী শহরের চুড়িপট্টির নয়ন দে, শ্বশুর নিতাই লাল দে, শাশুড়ি শীলা রাণী দে ও ননদ টুম্পা রাণী দে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই আসামি নয়ন প্রিয়ন্তীকে অপহরণের পর বিয়ে করে। সামাজিক সম্মানের ভয়ে তিনি পরে এ বিয়ে মেনে নেন। কিন্তু বিয়ের পর অন্য আসামিদের ইন্ধনে নয়ন যৌতুকের দাবিতে প্রিয়ন্তীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এসময় নয়ন বেকার ছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে চুড়িপট্টিতে দোকান পরিচালনার জন্য তাকে নগদ টাকা দিয়েছিলেন তার শ্বশুর। এরপরও যৌতুকের জন্য প্রিয়ন্তীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে যেতো নয়ন।
গত ১৩ জুলাই সকালে প্রিয়ন্তীর মা দিপালী রানী দে’কে মোবাইল ফোন করে নয়নের পিতা নিতাই লাল দে জানান, তার মেয়ে গ্যাস্ট্রিক জনিত কারণে অসুস্থ হওয়ায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ খবর পেয়ে দিলীপ চন্দ্র দে যশোরে এসে হাসপাতালের মর্গে মেয়েকে দেখতে পান। এসময় আসামিরা তাকে জানায়, প্রিয়ন্তী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে দিলীপ চন্দ্র দে জানতে পারেন, তার মেয়েকে আসামিরা হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করেছে বলে তিনি আাদলতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি