খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

ইবি প্রতিনিধি

ই-লার্নিং, শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল। প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না পাওয়ায় আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ ব্যবহার, আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে একাডেমিক, ব্যবহারিক এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা দক্ষতা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্কট নিরসনে অনতিবিলম্বে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ঘটছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। যা শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। তেমনি প্রযুক্তির অন্যতম ক্ষেত্র একাডেমিক ই-মেইল। ইতোমধ্যে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকতে চাই না।

শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তারা আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার দ্বার উন্মোচিত করে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গবেষণাসহ দূর্লভ কিছু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারবে। যে ক্ষেত্রে ট্রাডিশনাল ই-মেইল ব্যবহার করা যায় না, সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে সহজেই সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক আহসান উল আম্বিয়া জানান, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানে অথেনটিকেশনের ব্যাপার আছে। প্রথমত শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সভাপতির মাধ্যমে আবেদন করবে। আমরা হুট করেই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এ ব্যাপারে কিছু প্রসিডিউর ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য না থাকায় আমি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’

 

খুলনা গেজেটে/ এম কে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!