ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায় থাকল না সাত মাস পর খেলতে নেমেছেন মুমিনুল হক। সারাদিন বোলারদের শাসন করে তুলে নেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। অন্যদের সুযোগ করে দিতে স্বেচ্ছা অবসরে যান পড়ন্ত বিকেলে। তখন টেস্ট অধিনায়কের নামের পাশে ১১৭ রান।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচ ড্র হয়েছে। মোটাদাগে অর্জন বলতে মুমিনুলের সেঞ্চুরি। বহুদিন পর ম্যাচ খেলতে নামা এ বাঁহাতি জানান দিলেন মরচে পড়েনি তার ব্যাটে। ২২০ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও একটি ছয়।
প্রস্তুতি ম্যাচে আগের দিন ওটিস গিবসন একাদশ প্রথম ইনিংসে ৬৩.৪ ওভারে ২৩০ রান তুলে অলআউট হয়। সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার পান ফিফটি। তাসকিন আহমেদ ও তাউজুল ইসলাম নেন তিনটি করে উইকেট।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের সকালে রায়ান কুক একাদশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। মুমিনুল-মিঠুন ১৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ভালো অবস্থানে।
৬২ রানের ইনিংস খেলে মিঠুন আউট হলেও মুমিনলের ব্যাটে ছড়াতেই থাকে সৌরভ। বৃষ্টি-বিঘ্নিত দিনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২২ গজে লড়ে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক। দলকে এনে দেন লিড।
সেঞ্চুরির পর মুমিনুল জানান, ২২ গজে মানিয়ে নেয়া ছিল তার লক্ষ্য। রানের দিকে না তাকিয়ে কীভাবে টিকে থাকা যায় সে ভাবনা ছিল তার। প্রস্তুতি ম্যাচে পেস বোলারদের ভালো বোলিং করতে দেখে সন্তুষ্টি ঝরেছে এ ক্রিকেটারের কন্ঠে।
দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তুলেছে কুক একাদশ। তারা খেলেছে ৭৬ ওভার। ইবাদত হোসেন নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, নাঈম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
হালকা চোটের কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেননি তামিম ইকবাল ও শফিউল ইসলাম। করোনা জয় করে ফিরলেও বিশ্রাম দেওয়া হয় আবু জায়েদ রাহিকে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার মিরপুরে আরেকটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
খুলনা গেজেট/এএমআর