শীত আসছে। সময়টা ত্বকের জন্য সুবিধাজনক নয়। কেননা শীতে ত্বকে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ত্বক ভালো রাখতে এসময় যত্ন নিতে হবে। নয়তো বিরুপ প্রভাব পড়বে। সুন্দর ত্বকের জন্য অধিকাংশরা ফেসওয়াশ, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। ঠিকমতো স্কিন কেয়ার করলে ত্বকের একাধিক সমস্যা এড়ানো যায়। কিন্তু সবসময় যে প্রসাধনীই ব্যবহার করতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। আর এতে আলাদা প্রসাধনীর ওপর ভরসা করতে হয় না। আবার টাকাও বেচে যায়।
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ছেড়ে অ্যালোভেরার সাহায্য নিন
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বককে নরম ও কোমল রাখে। আর্দ্রতা ধরে রাখে। এই একই কাজ করে অ্যালোভেরা জেলও। তাই বাজার থেকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার, সিরাম না কিনে তাজা অ্যালোভেরা জেল মাখুন। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করেও সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন। এটি ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
রেটিনলের পরিবর্তে গাজর খান
রেটিনল ত্বকে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যায় না। ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধের জন্য রেটিনল সিরাম না মেখে গাজরের সাহায্য নিন। গাজরের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা ত্বকের জন্য অপরিহার্য। সকালে খালি পেটে গাজরের রস পান করুন। এটি ত্বককে ভালো রাখতে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করবে।
নিয়াসিনামাইড ছেড়ে সবুজ চায়ের সাহায্য নিন
ত্বককে টানটান রাখার জন্য নিয়াসিনামাইড ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই কাজ গ্রিন টি অর্থাৎ সবুজ চাও করে। সবুজ চায়ে প্রাকৃতিক নিয়াসিন রয়েছে, যা ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে এবং ত্বকের সমস্যা কমায়। ব্রণ, র্যাশ, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে সবুজ চা।
গ্লাইকোসিড অ্যাসিডের পরিবর্তে লেবু
গ্লাইকোসিড অ্যাসিড ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল করতেও ভূমিকা রাখে। এই কাজটি কোনো প্রসাধনী না মেখেও করা যায়। প্রসাধনী ছাড়া সুন্দর ত্বক পেতে ডায়েটে লেবুর রস রাখুন। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল করবে। ফেসপ্যাকেও লেবুর রস মিশিয়ে মাখতে পারেন। লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে।
খুলনা গেজেট/এনএম