খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ পৌষ, ১৪৩১ | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বুধবারের মধ্যে দাবি পূরনের আশ্বাসে সচিবালয়ের সামনে থেকে সরে দাঁড়িয়েছে জবির শিক্ষার্থীরা, অব্যাহত থাকবে ক্যাম্পাস শাটডাউন
  প্রণয় ভার্মাকে ডাকার পরদিনই, দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব
  জুলাই-আগস্টে গণহত্যা : প্রসিকিউশনের হাতে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড

প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা, হাসপাতালে ১৪ জন

গেজেট ডেস্ক

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো গণঅনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল (রোববার) রাত থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে নতুন করে আজ সকালে অনেক শিক্ষার্থী যোগ দেন। একই দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবন (সাবেক বিবিএ ভবন) ও রফিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রোববার রাতে ক্যাম্পাসে শাটডাউন ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখিত বিবৃতি দেন বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে শাটডাউনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইআর বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

অনশনরত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, প্রশাসন, ইউজিসি, সেনাবাহিনী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানাতে হবে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের নতুন শাটডাউন কর্মসূচি আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

ইতিহাস বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আমরা গতকাল সকাল থেকে অনশনে আছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে অনশন ভাঙার মতো কোনো আশ্বাস দেয়নি। আমরা অনেকগুলো শিক্ষার্থী অনশনে আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।

এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা।

যে তিন দফা দাবি নিয়ে জবি শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন সেগুলো হলো– দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!