নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে শিরীন পারভিন হক বলেছিলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন বাতিলসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সমতা আদায়ে বিভিন্ন সুপারিশ আমাদের প্রতিবেদনে রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেগুলোর বাস্তবায়ন হবে।
এছাড়া, এই কমিশনের একাধিক সদস্যের বরাতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে, সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার দেয়ার সুপারিশ রয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন রেখে সেখান থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত করা, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) মেয়েদের বিয়ে দেয়ার সুযোগ বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পর্যায়ের কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব ন্যূনতম ৪০ শতাংশ করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের একটি হচ্ছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। শিরীন পারভীন হক ছাড়া এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
খুলনা গেজেট/জেএম