বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপে তাঁরা ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আজকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুলিভান।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন উভয় নেতা। একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জ্যাক সুলিভান। বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, সেগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।’
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাড়ে চার মাসে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দেশ এরইমধ্যে অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, নির্বাচন ও অন্যান্য সংস্কার শুরু করার জন্য যে অগ্রগতি হয়েছে, সেসব বিষয় উল্লেখ করে এ প্রশংসা করা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দেন। ফোনালাপে তারা দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি বড় সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট আশা করছেন। এর পর সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করতে ঐকমত্য-নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ ছাড়া তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে উদার সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
জ্যাক সুলিভান ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন সমর্থন পুনঃনিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের জন্য এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
খুলনা গেজেট/এইচ