আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এজেন্টদের ভোট ক্যাম্পেইন করার কোনো সুযোগ নেই। তাই যারা এজেন্ট থাকবেন তারা নিয়ম-কানুন মেনে কাজ করবেন। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম করতে চাইনা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী চাইছেন সত্যিকার অর্থে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই নির্বাচনে যারা পোলিং এজেন্ট থাকবেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব সংকটের প্রভাব প্রতিক্রিয়া থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন নই। আমরা গ্লোবাল পলিটিক্সের বিভিন্ন কারণের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাজায় যে যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েলের যে হামলা চলছে, সুদান আবারও বিভক্ত হওয়ার পথে। এই অবস্থায় আমরা সংকটে আছি। দোষটা বড় বড় দেশের, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি, ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহনের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি। এসব সংকট আজ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে একটা সাধারণ জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি বলে এই সংকটের মুহূর্তে এখন নির্বাচন না করতে তাহলে আমরা বলব, আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধান আমাদের নির্বাচন দিয়েই রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
কাদের বলেন, আমাদের অপজিশন বিএনপি নির্বাচন শুধু বয়কট করেনি, তারা নির্বাচন পন্ড করতে চায়, বানচাল করতে চায়। মিছিল বিক্ষোভ, সমাবেশ করে নয়; তারা সন্ত্রাস-সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তারা ৩০০ এর মতো বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশ হত্যা, আনসার সদস্য হত্যা করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম