প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের নামে নির্মাণাধীন ভৈরব সেতু নামকরণের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তবে তাতে সম্মতি দেননি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহেনা।
গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দিঘলিয়ার নগরঘাট ফেরিঘাটসংলগ্ন ভৈরব তীরে মায়ের স্মৃতিবিজড়িত সম্পত্তি এবং তার উপর নির্মিত গোডাউন ঘুরে ঘুরে দেখার প্রাক্কালে তার কাছে এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা স্থানীয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ প্রস্তাবনা উত্থাপনের কথা জানান।
এ সময় মোঃ হায়দার আলী মোড়ল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গোডাউন ভাড়া নেওয়া জুট টেক্সটাইলের মালিক মোঃ রবিউল ইসলাম সিকো এ অঞ্চলের পাট শিল্পের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদীও উপস্থিত ছিলেন।
এরই এক পর্যায়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি আপা আমি একটা কথা বলবো। উনি বললেন বলো। এ সময় আমি তাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলি আপা ঐ যে ভৈরব সেতুর কাজ হচ্ছে, ঐ সেতুর নামটা আপনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে নামকরণ করলে ভালো হয়। এ সময় পাশে থাকা শেখ রেহানা বলেন “না ভাই আমাদের পরিবারের কোন সদস্যের নামে আর কোন সেতু বা সড়কের নামকরণ করার ইচ্ছা আমাদের নেই”।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রুপসা সেতু নির্মাণের শুরুটা কিভাবে হয়েছিলো তাদেরকে জানান। তিনি তাদেরকে জানান ” তখন দাতা সংস্থার কাছে ২টা সেতু নির্মেণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয় ২টা নয় আমরা একটা সেতু করে দিবো। আপনি নির্ধারণ করে দিলে সেটা আমরা করবো। তখন আমি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা ভেবে রুপসা সেতু তৈরীর প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করি”।