খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৩ হাজার পরিবার

গে‌জেট ডেস্ক

দেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষদের বাড়িঘর দিয়ে পুনর্বাসনের যে উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন, সেই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে স্থায়ী ঠিকানা পেলেন ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবার। ঈদের ঠিক আগে জমিসহ বাড়ি পাওয়ার আনন্দে এসব মানুষের মুখে এখন রাজ‌্য জয়ের হাসি।

২ শতাংশ জায়গায় প্রতিটি ঘরে দুটি কক্ষ রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে রান্নাঘর ও শৌচাগার। প্রতিটি ঘরের চারপাশে খোলা জায়গা রয়েছে, যেখানে উপকারভোগীরা চাইলে শাকসবজি আবাদ করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এসব পরিবারের হাতে ঘরের মালিকানাসহ দলিল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে সংযুক্ত আছেন তিনি। শুনছেন ঘর পাওয়া উপকারভোগী নিঃস্ব এসব মানুষের অনুভূতি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ হতে এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘর হস্তান্তর শেষে মোট দেড় লাখ গৃহহীন পরিবার সরকারের উপহারের ঘরের মালিক হলেন। পর্যায়ক্রমে মোট ৯ লাখ গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের ঘর উপহার দেওয়া হবে।

 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। যেখানে এ ধরনের জমি নেই সেখানে জমি কিনছে সরকার। ইতোমধ্যে দেশের আট বিভাগে বিপুল পরিমাণ বেদখল হওয়া সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। সারাদেশের এখন পর্যন্ত এমন ৫ হাজার ৫১২ একর খাস জমি উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, এই জমির স্থানীয় বাজার মূল‌্য তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপের বাড়িগুলো বেশি মজবুত আকারে নির্মাণ করা হচ্ছে। আগে ইটের ভিত ও কলাম ছিল। এবার আরসিসি ঢালাইয়ের ওপর গ্রেট বিম ও কলাম দেওয়া হয়েছে। আগে শুধু জানালা ও দরজায় লিংটেল ছিল। এখন পুরো ঘরে দেওয়া হয়েছে লিংটেল।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ঘর নির্মাণের বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ধাপে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯১ হাজার। আর প্রথম ধাপের চেয়ে ৮৮ হাজার ৫০০ এবং দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা বেড়ে তৃতীয় ধাপে বাড়িপ্রতি বরাদ্দ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!