প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন রোববার জারি করা হবে। আর তা সোমবার থেকে কার্যকর করবে সরকার।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার দুপুরে জানান, দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ২/৩ দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে। তিনি জানান, এবারের লকডাউনে সাধারণ মানুষের চলাফেরা একেবারে সীমিত করতে যাচ্ছে সরকার। অর্থাৎ লকডাউন হবে কড়াকড়ি। সন্ধ্যার মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা থাকলেও তা রোববার জারি করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। রোববারই তা জারি হবে।
গত কয়েক দিন থেকে করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সরকার কঠোর লকাউনের দিকেই যাচ্ছে। লকডাউন কঠোর করতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা মানুষের চলাফেরা একেবারে সীমিত করে দিতে চাচ্ছি। যাতে মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। সোমবার (০৫ এপ্রিল) থেকে এই লকডাউন শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কবে থেকে লকডাউন শুরু হবে- সে প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, প্রজ্ঞাপনে সে বিষয়টি উল্লেখ থাকবে। আমরা আগে থেকে জানাচ্ছি যাতে মানুষ অন্য কোনো স্থানে গিয়ে আটকে না পড়েন। প্রস্তুতিটা নিতে পারেন।
লকডাউনে কী কী বন্ধ থাকবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জরুরি সেবা দেওয়া এমনসব প্রতিষ্ঠান যেমন- ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্রএগুলো খোলা থাকবে।
লকডাউনের মধ্যে শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা কাজ করবেন। কলকারখানা বন্ধ করে দিলে অধিক সংক্রমিত জেলা থেকে মানুষ বাড়িতে যাবে। এতে ওই সব জেলাতেও সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বাড়বে।
তিনি বলেন, লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। আদালত ও সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে।
লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিনা- প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। যখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব সেখানে তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে। তবে লকডাউনে রেল, লঞ্চ এবং বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম