প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান ডিন এলগার। দ্বিতীয় টেস্টেও ঝলমলে তাঁর ব্যাট। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে বেশ ভোগালেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। এলগারের হাফসেঞ্চুরিতে স্বস্তি নিয়ে প্রথম সেশন পার করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই সেশনে শুধুমাত্র একটি উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে নিজেদের ভুলে সারেল এরউইয়াকে ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। খালেদ আহমেদের এলবির ফাঁদে পড়েও বেঁচে যান এরউইয়া। তবে, দ্বিতীয় বার আর প্রোটিয়া ওপেনারকে সুযোগ দেননি খালেদ। তাঁকে ফিরিয়েই বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি উপহার দিলেন তরুণ এ পেসার।
চার রানে জীবন পাওয়া এরউইয়া খেললেন ২৪ রানের ইনিংস। ৪০ বল মোকাবিলা করে ফিরলেন প্রোটিয়া ওপেনার।
পোর্ট এলিজাবেথের কঠিন কন্ডিশনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই পেয়ে যায় দারুণ সুযোগ। কিন্তু, নিজেদের সিদ্ধান্তহীনতার ভুলে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না মুমিনুলরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। সারেল এরউইয়ার বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন তোলেন বাংলাদেশি পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। এরপর তিনি অধিনায়ক মুমিনুল হককে রিভিউ নিতে বলেন। কিন্তু, কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেন ব্যাটে-বলের স্পর্শ হয়েছে কি-না। তাতে খালেদ নেতিবাচক আভাস দেন।
এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ১৫ সেকেন্ড সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। বাংলাদেশও সুযোগ হারায়। কারণ, টিভি রিপ্লেতে পরে দেখা যায়, ব্যাটে-বলের স্পর্শ ছিল না। বল সরাসরি আঘাত হানতো লেগ স্টাম্পের ওপরের দিকে। তাতে বেঁচে যান এরইউয়া। তখন উইকেটে ৪ রানে ছিলেন প্রোটিয়া তারকা।
এ সফরেই প্রথম বার প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু, ওয়ানডে জিতলেও টেস্টের পারফরম্যান্সে চরম হতাশা দেখা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এর আগে মোট সাত টেস্টের পাঁচটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ডারবানে সবশেষ ২২০ রানের পরাজয় এখনও তরতাজা। চার দিন লড়াইয়ে টিকে থেকেও পঞ্চম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে স্রেফ উড়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ডিন এলগারের দল। বড় হারের হতাশাকে সঙ্গে নিয়েই এবার টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ ভাঙার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে মুমিনুল হকের দল।
খুলনা গেজেট/ এস আই