গ্রুপ পর্বে যেমনই খেলুক, কোয়ার্টার ফাইনালে সত্যিই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে চিলি। স্বাগতিক ব্রাজিলের মুহূর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়ে প্রথমার্ধ গোলশূন্য রেখেছে ম্যাচ। নিজেরাও দু’একবার চেষ্টায় কোনো গোল করতে পারেনি। যার ফলে প্রথমার্ধ শেষ হলো গোলশূন্য ড্র’ দিয়ে।
ব্রাজিল গ্রুপের চার ম্যাচের ৩টিতে জয় ও ১টিতে ড্র করে কোয়ার্টারে উঠেছে। অন্যদিকে চিলি ৪ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ১টিতে, ২টি ড্র করেছে ও ১টি হেরেছে।
আবার সব ধরণের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে শেষ ১৬ বারের সম্মুখ সমরে চিলি মাত্র ১ বার ব্রাজিলকে হারাতে পেরেছে। ব্রাজিল জিতেছে ১৩টি ম্যাচ। ২টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। শেষবার ২০০৭ কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে চিলিকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ব্রাজিল।
খেলায় ব্রাজিলের পায়েই বল ছিল বেশি। তবে, চিলির ছিল অসাধারণ ম্যান মার্কিং। যে কারণে দেখা গেছে, ব্রাজিল বল নিয়ে এগুতে গেলেই বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। এমনকি চিলির ডি বক্সে আধিপত্য বিস্তার করার সুযোগই মেলেনি নেইমারদের। বক্সের সামনে বল নিয়ে গেলেও শট করার সুযোগ মেলেনি স্বাগতিকদের।
ম্যাচের ১০ম মিনিটেই গোলের চেষ্টা চিলির। ম্যাচে প্রথমবার যথাযথ আক্রমণে ওঠে চিলি। যদিও ভার্গাসের শট প্রতিহত করে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন।
১৫ মিনিটের মাথায় সিয়েরালতা বল বাড়িয়ে দেন ইসলার দিকে। রিচার্লিসন বল ধরে প্রতিআক্রমণে উঠে আসেন। লেফট উইং থেকে দূরপাল্লার শট নেন তিনি। যদিও বল সরাসরি চলে যায় চিলির গোলরক্ষক ব্র্যাভোর দস্তানায়।
২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত সুযোগ মিস করেন ফিরমিনো। নেইমারের দারুণ একটি ক্রস করেন। কিন্তু সেখান থেকে বল ধরার চেষ্টা করেও নাগাল পাননি ফিরমিনো।
২৭ মিনিটের মাথায় ভার্গাসের শট প্রতিহত করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন। ৩২ মিনিটের মাথায় চিলির রক্ষণের ভুলে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যান দানিলো। বক্সের সামনে থেকে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
৩৪ মিনিটে দূর পাল্লার শটে গোল করার চেষ্টা করেন পালহার। যদিও তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪০ মিনিটের মাথায় ইসলার সঙ্গে সামান্য ধাক্কাতেই চিলির বক্সের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন রিচার্লিসন। তিনি রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন জানান। যদিও রেফারি তার এই আবেদনে বিশেষ প্রভাবিত হননি। ৪৩ মিনিটে হেসুসের দুর্দান্ত শট পাঞ্চ করে প্রতিহত করেন ব্র্যাভো।
ব্রাজিলের একাদশ
এডারসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহোস, ক্যাসেমিরো, রিচার্লিসন, ফ্রেড, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, নেইমার, রেনান লোদি, রবার্তো ফিরমিনো।
চিলির একাদশ
ক্লদিও ব্র্যাভো, মেনা, ইসলা, সিয়েরালতা, ভিদাল, স্যাঞ্চেজ, ভার্গাস, পালহার, মেডেল, ভেগাস, আরাংগুইজ।