নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ ও হরতাল সর্বাত্মক, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত আমীর বলেন, মোদির আগমনের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকার বায়তুল মোকাররম, যাত্রাবাড়ী, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে আনুমানিক ছয়জনকে শহীদ করা হয়েছে এবং গুলি ও টিয়ারস্যাল নিক্ষেপ করে প্রায় চারশত প্রতিবাদী তৌহিদি জনতাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এভাবে পুলিশের গুলিবর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। কার নির্দেশে নিরিহ-নিরস্ত্র ছাত্রদেরকে এভাবে শহীদ করা হলো, এর জবাব প্রশাসনকে অবশ্যই দিতে হবে এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
হেফাজত আমীর বলেন, তৌহিদি জনতার এ আন্দোলন দেশ কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে ছিলো না। এই আন্দোলন ছিলো বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তৌহিদি জনতার উপর পুলিশের এমন বর্বরোচিত হামলা বরদাশত করা যায় না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, হাটহাজারীতে আমার কলিজার টুকরা চারজন ভাইকে শহীদ করেছে পুলিশ। শহীদদের গা থেকে ঝরা এ রক্ত কভু বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। পুলিশের গুলিতে নিহত তৌহিদি জনতার প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মোদি ইস্যুতে যদি আর একজন তৌহিদি জনতার রক্ত ঝরে বা ওলামায়ে কেরামকে হামলা মামলা ও হয়রানি করা হয় তাহলে এর প্রতিবাদে পুরো দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। প্রয়োজনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম