খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণা
  বছরের প্রথম দশ দিনে হাসপাতালে ৫২৮ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ৩

প্রতাপনগরে ঋষি সম্প্রদায়ের বসত ভিটার উপর বেড়িবাঁধ, কারণ দর্শানোর নির্দেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের ১১টি ঋষি পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা না করে তাদের বসতভিটার উপর দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের চেষ্টার ঘটনায় নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে বিবাদীদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। মামলার বাদি সুকুমার দাসসহ সাতজনের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানী শেষে মঙ্গলবার আশাশুনি সহকারি জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা চৌধুরী এ আদেশ দেন।

মামলার বিবাদীরা হলেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহিী প্রকৌশলী, আশাশুনির সেকশান অফিসার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মহাখালির মেসার্স আহাদ বিল্ডার্স এর স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২০ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত ও ২২ আগষ্ট জলোচ্ছ্বাসে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের কুড়িকাহুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ভেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময় ওই এলাকার ১১টি ঋষি পরিবারের চাষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই সব পরিবারের বসতভিটার উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে গাছপালা কেটে নদীর বালি ভরাট করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আপত্তি করলেও তাদের কথা রাখেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ওইসব পরিবারের কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা পূর্ণবাসনের উদ্যোগ না নিয়েই এ বাঁধ নির্মাণ চালানোর ফলে তাদের রাস্তায় বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। একপর্যায়ে ওই সব পরিবারের পক্ষ থেকে দু’ বার মানববন্ধন করা করা হয়। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় আশাশুনি সেকশান অফিস ঘেরাও এবং মামলা করার। সে অনুযায়ি ১৪ মার্চ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. তপন কুমার কুণ্ডু বিবাদীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর আদেশ এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!