চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে দুইটার দিকে বোয়ালখালী থানার মধ্যম শাকপুরার ৪নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আমানত ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলছে, পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতদল ঘরে ঢুকে সাত পরিবারের স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।
ডাকাতরা সাত পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৬টি মোবাইল ফোন, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২০ হাজার টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভবনের মালিক মো. সাবের। তিনি বলেন, ‘ডাকাতদল পুলিশ পরিচয় দেওয়ায় দরজা খুলি। তারা তল্লাশির নাম করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের সবার কাছে বন্দুক ছিল। সংখ্যায় ১০-১২ জন হবে। পরে আমাকে অস্ত্র ধরে ভাড়াটিয়াদের দরজা খোলার জন্য বলা হয়।’
ভবনের ভাড়াটিয়া ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন জাহেদ বলেন, ‘বাসার মালিক আমাকে দরজা খুলতে বলেন। আমি বাসার দরজা খুলে দেখতে পাই তার সঙ্গে চারজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিনজন আমার বাসায় ঢুকে আমার স্ত্রীর চার ভরি স্বর্ণ ও ২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। একই কায়দায় প্রতিটি ঘরে ডাকাতদল প্রবেশ করে মালমাল লুটে নেয়। এসময় পরিবারের সদস্যদের চড়-থাপ্পড়ও মারেন তারা।’
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য পরিমল দাশ বলেন, পুলিশ পরিচয় দিয়ে শাহ আমানত ভবনের সাতটি ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকায় রাতে পুলিশ টহল জোরদার করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানতে পেরেছি। সকালেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আমরা মামলা নেবো এবং আসামি ধরবো। কোনো সমস্যা হবে না।’
খুলনা গেজেট/ টিএ