জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ছয়জনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারপতি হাবিবুল গণির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
জামিন পাওয়া অন্য নেতারা হলেন- ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।
সে সময় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-অর-রশীদ বলেন, এজাহারে ৪৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনের কথা উল্লেখ হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ওইদিন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করতে প্রেসক্লাবের সামনে গেলে লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
ওসি মামুন-অর-রশীদ বলেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। প্রেসক্লাব সংলগ্ন অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালাও ভাঙচুর করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম