সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোর কোলে বঙ্গোপসাগর মোহনায় শুক্রবার সূর্যদয়ের সাথে সাথে স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাসপুজা। এর আগে বৃহস্পতিবার পুজার সকল আনুষ্ঠানিকতা পালন করে সেখানে উপস্থিত সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা।
এবারে সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে রাস পূর্ণিমার পূর্ণ স্নান-রাসপুজার অনুমতি দেয়া হলেও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে রাস মেলা অনুমতি দেয়নি বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতার্ (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এবারের রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানের জন্য সীমিত পরিসরে শুধুমাত্র সনাতন ধমার্বলম্বলীদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এবার রাস পূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠানে
যেতে দেয়া হয়নি সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বী ছাড়া অন্য ধর্মের কোন লোকজনকে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুন্দরবন বিভাগের অনুমতিপত্র (পাশ) নিয়ে বন বিভাগের দেখানো নির্দিষ্ট নৌপথ দিয়ে সনাতন হিন্দু পূণ্যার্থীরা এবার রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে পেরেছেন।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে রাস পূর্ণিমার তিথীতে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল ও চট্রগ্রামসহ দেশে-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার সনাতন হিন্দু পূণ্যার্থীরাসহ নানা ধর্মবর্ণের দেশীবিদেশী পর্যটকরা সুন্দরবনের আলোরকোলে রাস উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন।
তবে এবার রাস পূর্ণিমার পূর্ণ স্নান-রাসপুজায় হিন্দু পূণ্যার্থীদের নিদৃষ্ট করে দিয়ে রাস উৎসব বা মেলা বন্ধ করে দেয়ায় লোক সমাগম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম