খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
  গেল ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩

পিঠের নিচের অংশের চর্বি কমাতে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

পেটের চর্বির মতো কোমরের পেছনের অংশের চর্বি কমানো কঠিন ব্যাপার। আর এই অংশের চর্বির জন্য দেখতেও খারাপ লাগে। বিশেষ করে নারীদের অন্তর্বাসের ফিতার নিচের অংশে বেঢপ আকারে ফুলে থাকে।

দেহের নির্দিষ্ট অংশের চর্বি কমানোর জন্য বিশেষ কোনো পন্থা নেই। সার্বিকভাবে মেদ কমানোর চেষ্টা করতে হয়। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে পিঠের নিচের দিকের এই জেদি চর্বি কমানো সহজ হতে পারে।

‘ডায়েট’ না করে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিকল্পনা:

“সার্বিকভাবে দেহের চর্বি কমানোর জন্য কম খেয়ে নয়, বরং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি”- ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবে পরামর্শ দেন নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক পুষ্টিবিদ লিসা ইয়ং।

কম খেয়ে বা না খেয়ে থাকার চাইতে পুষ্টিকর খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর দ্রুত কাজ করে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সাধারণভাবে বলতে গেলে- সবজি, ফল, পূর্ণ শষ্য, শুঁটি, চর্বিহীন প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরকে দেয় কার্বোহাইড্রেইটস, চর্বি, প্রোটিন ও আঁশ। প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে এই ধরনের খাবার বেছে নেওয়া হবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সেরা সিদ্ধান্ত।”

খাবারের প্যাকেটের লেবেল পড়া:

ওজন কমানোর যাত্রায় খাবার কেনার ক্ষেত্রেও সাবাধান হতে হবে। প্যাকেটজাত খাবারে এমন সব উপকরণ থাকতে পারে যা ওজন আরও বাড়িয়ে দেয়। ইয়ং বলেন, “অভ্যান না থাকলে, এই অভ্যাস গড়তে হবে। প্যাকেটজাত খাবার কেনার সময় লেবেল পড়ে দেখে নিতে হবে পুষ্টি উপাদানের তালিকা। এড়াতে হবে অপ্রাকৃতিক মিষ্টিকর ও কৃত্রিম উপাদান এবং চিনি।

সব সময় খাবার পরিকল্পনা ঠিক রাখা:

বাসাতেই শুধু নয়, বাইরে গেলেও সুষম খাবার খাওয়া অভ্যাসটা চালু রাখতে হবে। সেটা হতে পারে ‘ডেট নাইট’ কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় খাওয়া। ইয়ং বলেন, “যেখানেই যাওয়া হোক, বেছে নিতে হবে চর্বিহীন প্রোটিন, ফল, সবজি পূর্ণ শষ্য। প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার একেবারে এড়াতে না পারলে গ্রহণ করতে হবে কম।”

সেই সাথে আর্দ্র থাকার চেষ্টা করতে হবে। কোমল পানীয় বাদ দিয়ে পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাধারণ পানি। বেছে নিতে হবে কর্মচঞ্চল শখ, হতে পারে হাইকিং, সাইকেল চালানো, জগিং, ইয়োগা, হাঁটা, নাচ ইত্যাদি। এগুলো শখ হিসেবে আনন্দ নিয়ে করার পরামর্শ দেন ইয়ং। তার ভাষায়, “শারীরিকভাবে কর্মমুখর থাকলে দেহ যেমন ভালো থাকে তেমনি ওজন কমানোর যাত্রাও সুগম হয়। সেই সাথে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি। সামলে থাকে রক্তচাপ, ইন্সুলিনের মাত্রা, উন্নত হয় মানসিক অবস্থা।

শক্তির ব্যায়াম:

“স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং’ ব্যায়াম করলে পেশি দৃঢ় হয়, পিঠসহ সার্বিকভাবে দেহের চর্বি কমে। আর পেশির সম্প্রসারণের কারণে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পায়”- এভাবেই ব্যাখ্যা করেন ‘পিটিপাইওনিয়ার ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা টেইলর রিড। অন্তত দুদিন অভিজ্ঞ ব্যায়াম প্রশিক্ষকের কাছে ‘স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং এক্সারসাইজ’ করার পরামর্শ দেন রিড।

কার্ডিওতে মনোযোগ:

কার্ডিও ব্যায়ামের কথা ভুললে চলবে না। সাঁতার কাটা, দ্রুত হাঁটা, জগিং করা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে। রিড বলেন, “নিয়মিত ‘অ্যারোবিক এক্সারসাইজ’ হল ক্যালরি পোড়ানো ও চর্বি কমানোর চাবিকাঠি। প্রতি সপ্তাহে দৌড়ানো, হাঁটা, বা সাঁতার কাটার মতো বিষয়গুলো মাঝারি মাত্রায় করলে ১৫০ মিনিট আর বেশি মাত্রায় করলে ৭৫ মিনিট করার লক্ষ্য স্থীর করতে হবে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!