যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আঘাতজনিত কারণেই তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানিয়েছেন, তিন কিশোরের মরদেহের পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মূলত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তা যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্মম পিটুনিতে ‘বন্দি’ তিন কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), রাসেল সুজন (১৮) ও নাইম হোসেন (১৭) নিহত হয়। আহত হয় আরো ১৫ কিশোর। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি কিশোরদের ‘দুই গ্রুপের মারামারি’ বলে প্রচার করেন। কিন্তু পরে আহতদের বক্তব্য ও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে প্রকৃত সত্য, কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্মম পিটুনিতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
খুনের ব্যাপারে নিহত রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশে এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তর সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
এদিকে, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় ওই পদে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলনার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বলে সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম