বাগেরহাটের চিতলমারীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কালাম শেখের (৫৭) সামনের চারটি দাঁত পিটিয়ে ভাঙ্গার অভিযোগে তাই ভাই সালাম শেখসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। দাঁত ভাঙার সময় তাকে ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা তার স্ত্রী আরিফা বেগম (৪৫) ও বিবাহযোগ্য মেয়ে জেসমিন আক্তারকেও পিটিয়ে আহত করে। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত কালাম শেখ উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া শেখের ছেলে। সে পেশায় একজন শাপলা বিক্রেতা। চিতলমারী থানায় দায়ের করা মামলায় কালাম শেখ নিজে বাদী হয়েছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ রমজান শেখ (৩২) ও নাজমা বেগম (৩০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। রমজান শেখ বোয়ালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে ও নাজমা বেগম একই গ্রামের সালাম শেখের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কালাম শেখের জায়গা নিয়ে তার আপন ভাই সালাম শেখের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ১ অক্টোবর দুপুরে সালাম শেখ তার জামাতা রমজান শেখ ও স্ত্রী নাজমা বেগম কালামের জায়গা দখল করে গাছের চারা রোপন করতে যায়। এ সময় তিনি নিষেধ করলে উক্ত ব্যাক্তিরা পিটিয়ে তার সামনের চারটি দাঁত ভেঙে ফেলে মারাত্মক জখম করে। এ সময় তাকে ঠেকাতে এলে হামলাকারীরা তার স্ত্রী আরিফা বেগম ও বিবাহ সমত্ত মেয়ে জেসমিন আক্তারকেও পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় কালাম শেখ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর চিতলমারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দাঁত ভাঙ্গার কথা অস্বীকার করে করে সালাম শেখ বলেন, ‘ওই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। গাছের চারা রোপন করলে কালাম ও তার লোকজন তা উপড়ে ফেলে। এ নিয়ে ওরা আমাদের মেরেছে।’
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিপক্ষরা কালামের দাঁত ভেঙ্গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর রমজান শেখ ও নাজমা বেগম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ