গ্রাম্য সড়কের পাশে চলছে একটি মেশিন। সেটাকে ঘিরে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ভীড়। সকলের চোখ এখন মেশিনের দিকে। সবাই যেন অপলক চোখে অদ্ভুত কিছু দেখছেন। এগিয়ে যেতেই দেখা যায় একটি মেশিনের নলের মধ্যথেকে সাদা লম্বা দড়ির মত ধবধবে সাদা কিছু বেরিয়ে আসছে। নলের নীচে বড় পাতিলে সেটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কথাবলে জানা যায় ধবধবে সাদা জিনিষটি এক প্রকারের পিঠা। যা ‘পাপড় পিঠা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
মণিরামপুরে বিশেষ এই মেশিনে সরাসরি চাল দিয়ে তৈরী ‘পাপড় পিঠা’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মেশিনের কারিগরেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে পিঠা তৈরী করছেন। বিশেষ এ মেশিন দেখতে ও পিঠা বানাতে ভিড় জমেছে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষদের।
এ প্রতিবেদকের কথা হয় পিঠা কারিগর মাহবুব হোসেনের সাথে। তিনি জানান, চীন থেকে নিয়ে আসা এ মেশিনের মধ্যে বিশেষ ধরনের সাচ তৈরী করা হয়েছে। মেশিনসহ তিনি দেশের উত্তরাঞ্চল নওগাঁ থেকে এসেছেন। তার মতো আরও ২৮ জন কারিগর মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পিঠা তৈরী করছেন। তারা এ পিঠা তৈরীর কাজকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন।
জানা যায়, প্রতিকেজি চাউল দিয়ে পাপর পিঠা তৈরী করতে তারা ৪০ টাকা নিচ্ছেন। পাপর পিঠা বানানোর আগে পরিমান মত লবন ও তেল দিয়ে চাউল মেশানোর পর মেশিনে দেওয়া হয়। ওজনে হালকা হলেও পাপর পিঠা মেশিন থেকে বের হওয়ার পর তেলে ভেজে খাওয়ার উপযোগি হয়। তেলে ভেজা এ পাপড় পিঠা মসলা দিয়ে মিশিয়েও খাওয়া যায়।
পাপড় পিঠা বানাতে আসা উপস্থিত একাধিক নারী-পুরুষ জানান, ভাজা পাপড় পিঠা চিনির সিরায় পানি ও চিনির মিশ্রণে ভিজিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। পাশাপাশি জনপ্রিয় পাপড় পিঠা তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িসহ নিকট নিকটাত্মীয়দের বাড়িতে পাঠাচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই