২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সংখ্যায় শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইচএসসি ও সমমানের ফল ঘোষণা করেন।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে গড় পাশের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এবার পাসের হারে শীর্ষে আছে যশোর। এই বোর্ডে অংশ নেয়া ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৭৮ শিক্ষার্থী।
পাসের হারে যশোরের পরেই রয়েছে কুমিল্লা বোর্ড। বোর্ডটিতে অংশ নেয়া ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী।
পাসের হারে তৃতীয় রাজশাহী বোর্ড। অংশ নেয়া ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ জন পরীক্ষার মধ্যে পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৩২ হাজার ৮০০ জন।
এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। অংশ নেয়া ৩ লাখ ১০ হাজার ১৫২ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ঢাকা ৯৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৫৯ হাজার ২৩৩ জন।
এর পরের অবস্থানে বরিশাল বোর্ড। অংশ নেয়া ৬৬ হাজার ৭৯৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৯ হাজার ৯৭১ জন।
এরপর আছে ময়মনসিংহ বোর্ডের অবস্থান। অংশ নেয়া ৬৯ হাজার ২১৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৭ হাজার ৬৮৭ জন।
তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে সিলেট বোর্ড। অংশ নেয়া ৬৬ হাজার ৬৬১ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৭৩১ জন।
এর পরের অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর বোর্ড। অংশ নেয়া ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ৯২.৪৩ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী।
সবশেষ অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ড। অংশ নেয়া ৯৯ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ১৩ হাজার ৭২০।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। উত্তীর্ণ হয় ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন।
সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো হয়নি। পরীক্ষা হয় শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। আর আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাদ দেয়া হয় চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও।
খুলনা গেজেট/এনএম