আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার বেড়ায় বর্তমান ও সাবেক দুই মেয়রের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা জাহাজ ঘাট এলাকায় বর্তমান মেয়র আসিফ সামস রঞ্জন ও সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেনের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
রঞ্জন ও বাতেন সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা। পাবনার বেড়া উপজেলার সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন ও ভাই আব্দুল বাতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দশ বছর আগে বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখায় হুরাসাগর নদী তীরে অবৈধ নৌ বন্দর গড়ে তোলেন তৎকালীন পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন।
পরে বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ করলেও পরবর্তীতে আবারও ঘাটটি চালু করেন আব্দুল বাতেন। নৌ বন্দরের পাশে শতাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন বাতেন। বর্তমানে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘাট ও দোকানপাট দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে রঞ্জন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে রঞ্জনের সমর্থকরা দোকানপাটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বাতেনের সমর্থকরা তালা ভেঙে দোকানপাট খোলার চেষ্টা করে।
এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য অন্তত ১৫ জন আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন ও বর্তমান মেয়র রঞ্জনের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
বেড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, বাতেন ও রঞ্জন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিকেলে বৃশালিখা ঘাট এলাকায় দোকানপাট দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংষর্ষে লিপ্ত হন। পুলিশ ফোর্স দ্রুত সেখানে গাড়ি নিয়ে পৌঁছালে সাবেক মেয়র বাতেন গ্রুপের সমর্থকেরা আমাদের পুলিশের গাড়ির উপরে হামলা করে। ঘটনায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে পুলিশের উপর হামলায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই