সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৩ জুলাই তালার দোহার গ্রামের পানিতে ডুবে দুই মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই হলো শিশু ও শিক্ষার্থী। পানিতে ডোবা প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপ হলো সাঁতার শেখা। সাতক্ষীরাবাসীকে সাথে নিয়ে সেই সাঁতার শেখার কাজটি শুরু করবে সদর উপজেলা পরিষদ।
শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরায় পানিতে ডোবা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবসে পালনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এই ঘোষণা দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি। সন্ধ্যা ৬টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে অনলাইন আলোচনা সভা ও পানিতে ডুবে মৃতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটি’র সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহিম মিল্টন, বেসরকারি সংগঠন স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, উত্তরণের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এড. মনিরুজ্জামান, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ সুব্রত ঘোষ, প্রাণকেন্দ্র’র প্রধান সংগঠক সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়না, নিবেদিতা বছাড়, নাট্যকর্মী শেখ আবু সালেক, সিকান্দার আবু জাফর, বারসিক’র জেলা কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম, আবৃত্তিকর্মী পারভেজ ইমাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথি মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, দেশের নদী খাল পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু কখনই কাম্য হতে পারে না। পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবরের অধিকাংশই হলো শিশু ও শিক্ষার্থীরা। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ হলো সাঁতার শেখা। সাতার জানলে মৃত্যুর আশংকা অনেক কম থাকে। সেই সাঁতার শেখার কাজটি সাতক্ষীরাবাসীকে সাথে নিয়ে প্রথম শুরু করবে সদর উপজেলা পরিষদ। এজন্য সাতক্ষীরাবাসীকে সাথে নিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পানিতে ডোবা প্রতিরোধে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
চেয়ারম্যান বাবু বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটির প্রস্তাবক যেহেতু বাংলাদেশ সেহেতু পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সরকার আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকারের সাথে সাথে দেশের প্রতিটি মানুষকে আন্তরিক হয়ে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে হবে আমরা পেরেছি, আমরা পারি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সেঁজুতি বলেন, বাবা-মায়ের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি হতে হবে। শিশুদেরকে সাঁতার শেখার পরিবেশ করে দিতে হবে, সাঁতার শেখার বিকল্প কিছু নেই। অনলাইন আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন এনসিটিএফ’র জেলা সভাপতি আবৃত্তিকর্মী ফারিয়া যুথী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমষ্টির জেলা প্রতিনিধি ও বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।
খুলনা গেজেট/এনএম