খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
  রাজধানীর মিরপুরে গার্মেন্টস কর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নারীসহ ২ পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ

পাঠ্য বই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফার’ গল্প বাদ দিতে সুপারিশ

গেজেট ডেস্ক

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে আলোচিত শরীফার গল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে কমিটির সদস্যরা গল্পে ব্যবহৃত ১৯টি শব্দ ‘ইসলাম ধর্ম’ ও ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার’ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মত দিয়েছেন। তার পরিবর্তে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে মানবিক গল্প পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে বিশেষজ্ঞ কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি তুলেছেন। আবার ওই শব্দগুলো বাদ দিলে গল্পই থাকে না। সেজন্য গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এর পরিবর্তে হিজড়াদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে মানবিক গল্প সংযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে কমিটির কেউই সরাসরি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি। কমিটির প্রধান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আমরা প্রতিবেদন তৈরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে কি সুপারিশ করা হয়েছে, তা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন।

জানতে চাইলে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। সুপারিশের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার বলেন, আমরা শরীফার গল্পের লাইন বাই লাইন পড়েছি। সেখানে কী কী অসংগতি রয়েছে, সেগুলো দেখেছি। এরপর সেখানে কী কী সংশোধনী আনা যায় তা সুপারিশ করেছি। সরকার এখন বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে, এটুকু জানি। কিন্তু প্রতিবেদনে কী আছে তা আমার জানা নেই। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমরা শুধু তা বাস্তবায়ন করব।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরিফার গল্প’ নামের গল্পটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে গত ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যে এই কমিটিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে আহ্বায়ক করা হয়ে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!