সাতক্ষীরার পল্লীতে নবদম্পতিকে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে অগ্নিগদ্ধ করার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাকে পাটকেলঘাটা থানার কাশিপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম শেখ তুহিন হোসেন (২১)। সে পাটকেলঘাটা থানার বড়কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল আলালের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী এলাকায় নবদম্পতিকে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছুড়ে পালিয়ে যায় কিছু যুবক।
আহতরা হলেন, পাটকেলঘাটা থানার বড়কাশিপুর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে তামান্না খাতুন (২৫) ও তার স্বামী ফরহাদ সরদার(৩০)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে।
প্রথমে নবদম্পতিকে খুলনা মেডিকেল পরে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে ।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ভিকটিমের বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আহত তামান্নার বাবা আব্দুল হক জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে কলারোয়া উপজেলার তুলসী ডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের সাথে বিয়ে হয় মেয়ে তামান্নার। কিন্তু বছর খানেক আগে জামাতা সাদ্দাম দেশে না আসার কারণে সে সম্পর্ক ভেঙে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে তামান্নার সাথে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কবিরাজ বাড়ির আবুল হোসেন সরদারের ছেলে ফরহাদ সরদারের আবার বিয়ে হয়। সম্প্রতি ঈদের কেনাকাটা করে মেয়ে জামাতা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারা বাড়ির পাশের কপোতাক্ষ নদের তীরে বসে থাকলে মেয়ের সাবেক স্বামী সাদ্দাম সহ কিছু অজ্ঞাতনামা যুবক এসে তাদের উপর এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছুড়ে দগ্ধ করে। প্রথমে তাদের খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনার বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা(এস. আই) কৃষ্ণ পদ সমাদ্দার জানান, এঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত নামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -২। ইতিমধ্যে মামলার দুই নাম্বার আসামী তুহিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।