প্রায় তিন মাস পার হতে চললেও সরকারের একক সিদ্ধান্তে বন্ধ করা ২৫টি পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করা পেশাধীন পাটকল শ্রমিকদের দ্রুত পাওনা পরিশোধের দাবী জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন আন্দোনরত শ্রমিকদের অবরুদ্ধ ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে শ্রম আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে লাখো শ্রমজীবী মানুষের জীবন জীবিকা বন্ধ করে অনাহারে-অর্ধাহারে অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। জুটমিল বন্ধ করার সময় কথার ফুলঝুরি দিয়ে বলা হয়েছিলো শ্রমিকরা তাদের পাওনা বাড়ী বসে পাবেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনদিনের খাবার যে শ্রমিকের বাড়িতে নেই তাদের তিন মাস চলছে কিভাবে? শ্রমিকরা তো ত্রাণ চায় না চায় তাদের পাওনা। সরকার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলো বেসরকারী মালিকানায় মিল চালানো হবে, কোথায় সে পদক্ষেপ জনগন জানতে চায়।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে অবিলম্বে শ্রমিকদের সকল পাওনা দ্রুত পরিশোধ -১৯ সালের ৬ সপ্তাহ বকেয়া মজুরী ও গত ঈদ উল আযহার বোনাসসহ সরকারী ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে মিল চালু, শ্রমিক আবাসিক এলাকায় শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা ও পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দীর্ঘ সূত্রিতা দূর করার দাবী জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ভাষাসৈনিক এম নুরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তুজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মোঃ মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট / এমএম