পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ১৭০টি আসনে জয়ের দাবি করেছেন কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান গহর আলি খান। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ দাবি করেন গহর খান।
তিনি দাবি করেছেন, পিটিআই সমর্থিত ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। তারা ১৭০টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পিটিআইকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন।
তিনি বলেন, কারো সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই, আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠন করবো।
পিটিআই প্রধান বলেন, পিটিআইয়ের জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা উচিত নয় এবং যত দ্রুত সম্ভব বাকী আসনগুলোর ফল ঘোষণা করতে হবে।
গহর আলি খান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা দলের প্রতি অনুগত ছিলেন এবং তাই থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা স্বাধীন সরকার গঠন করবেন।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দলটি।
২৬৫ আসনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫৫ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০০টি আসনে জয় পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জয় পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন। তারা আসন পেয়েছে ৭৩টি। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন।
যেসব আসনে ফলাফল ‘আটকে রাখা হয়েছে’ সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের বাইরে আগামীকাল আইন মেনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়ে পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার গোহর আলি খান বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও ফল উল্টে দেওয়া হচ্ছে। এসব আসনের তালিকা আমরা আপনাদের দেবো। আমাদের জয়কে পরাজয়ে বদলে দেওয়া হচ্ছে।’ বিক্ষোভে সামিল হওয়ার জন্য ইমরান খান নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি