পাকিস্তানে রাজনৈতিক সভায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪ জন। আহতদের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক। সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে কট্টরপন্থি ইসলামী দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) কর্মী সম্মেলনে ভয়াবহ এই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দলটির স্থানীয় কয়েকজন নেতাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। খায়বার পাখতুনখোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ আনোয়ার সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪ জন। সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজটিভি ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাওলানা লায়েক কনভেনশন হলে চলা ওই কর্মী সম্মেলনে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতে, জেইউআই-এফ নেতার বক্তৃতার সময় ভয়াবহ বোমা হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। জেলা জরুরি কর্মকর্তা বলেন, আহতদের তিমারগাড়া এবং পেশোয়ারে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
জিও নিউজটিভির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) বাজাউরের খার জেলায় কট্টরপন্থি ইসলামী দলটির কর্মী সম্মেলনে হামলার এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছেছে। তবে পুলিশ এখনও বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউর জেলায় র্যালিতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি একটি স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে খারের জেইউআই-এফ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেইউআই-এফ নেতা হাফিজ হামদুল্লাহ বলেন, ‘আজ আমার সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কাজের জন্য প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে ১০-১২ জন কর্মী শহীদ হয়েছেন। এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আজকের ঘটনাটি মানবতা এবং বাজাউরের ওপর আক্রমণ ছিল।’
খুলনা গেজেট/এসজেড