এবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় শনিবার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে রাওয়ালপিন্ডির আদালত। এই রায় দিয়েছেন সিনিয়র সিভিল জজ গোলাম আকবর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
রায়ে বিচারক বলেছেন, এফআইআরে নাম এসেছে সানাউল্লাহর। এ জন্য তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, রেকর্ডসে তার প্রতিফলন ঘটেছে এবং এই অভিযোগ যথার্থ। এ জন্য ন্যায়বিচারের স্বার্থে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাঞ্জাবের দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান এন্টি-করাপশন এস্টাবলিশমেন্ট (এসিই) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুর্নীতি বিরোধী এই মামলার তদন্তে বেশ কয়েকবার সমন পাঠানো হয়েছিল রানা সানাউল্লাহকে। কিন্তু তিনি উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং তাকে তদন্তের মুখোমুখি করতে বলা হয়েছে।
রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত জানান ওই মুখপাত্র। তিনি বলেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে কল্লারকাহার এলাকায় বিসমিল্লাহ হাউজিং স্কিমে দুটি ফার্মহাউজ কেনার অভিযোগ আছে মন্ত্রী সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে। এ দুটি প্লটই তার স্ত্রীকে দেয়া হয়েছে ঘুষ হিসেবে। সোসাইটিতে সানাউল্লাহকে ঘুষ হিসেবে প্লট দেয়ার অভিযোগে এর মালিক আখলাক আহমেদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। ওই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী সানাউল্লাহ ও তার স্ত্রী। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। দিনের শেষে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানোর কথা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি বিরোধী উপদেষ্টা মুসাদ্দিক আব্বাসির।
ওদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) এক কর্মকর্তা দলীয় টুইটারে লিখেছেন, রানা সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একটি দল বেরিয়ে গেছে। তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোহসার পুলিশ স্টেশনে পৌঁছাবে। নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় পুলিশকে এ বিষয়ে তথ্য দেয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করার কথা।
অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন, রানা সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দিয়ে ‘ইমরান খানের ভীতি’ প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিদেশি অর্থায়ন বিষয়ক এজেন্টের দুর্নীতি থেকে মনোযোগ অন্যদিকে প্রবাহিত করে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলা করা হচ্ছে এবং জনগণকে বোকা বানানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রাজধানীতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই পক্ষটি।