পাকিস্তান কড়ায়-গণ্ডায় শোধ তুলল। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের হারের বদলে সুপার ফোরে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিলেন বাবর আজমরা। তাতে ভারত-বধের সঙ্গে সুপার ফোরে তাদের শুরুটাও হলো রাজসিক।
ভাগ্যের বদান্যতা নয়, বরং শক্তিশালী ভারতকে রণকৌশলের খেলেই মাত করেছে পাকিস্তান। ভারতের লেগ স্পিন ভেলকি সামাল দিতে নিজেদের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে ভারত। লেগিদের সামনে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজকে ছুঁড়ে দেয়। আর তাতেই দলের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন এই অলরাউন্ডার।
ক্যারিয়ারজুড়ে সাত-আট নম্বরে ব্যাট করা নওয়াজ টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়েই তা দুহাত দিয়ে লুফে নিয়েছেন। ২০ বল খেলেছেন ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৬ চার এবং ২ ছয়ে ইনিংস সাজানো নওয়াজ ব্যাটিং করেছেন চোখ কপালে তোলা ২১০ স্ট্রাইক রেটে!
বল হাতেও সমানভাবে আলো ছড়িয়েছেন নওয়াজ। নিজের কোটার চার ওভার বোলিং করে তুলে নিয়েছেন ‘ভয়ঙ্কর’ ছন্দে থাকা সূর্যকুমার যাদবের উইকেট। হংকংয়ের বিপক্ষে এই যাদবের ব্যাট থেকে মাত্র ২৬ বলে এসেছিল ৬৮ রান। নওয়াজের ঘূর্ণিতে এদিন আর সূর্য কিরণ ছড়াতে পারেননি।
পাকিস্তানের পক্ষে ম্যাচে সবচেয়ে কিপটে বোলিংও নওয়াজের। ৪ ওভারে দলের হয়ে সর্বনিম্ন ৬.২৫ গড়ে ২৫ রান করেছেন তিনি। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফর্ম করে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
ইনিংসের নবম ওভারে দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফখর জামান সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পরই নওয়াজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের পর নওয়াজের ব্যাটিং পজিশনে হঠাৎ বদলে দেওয়ার রহস্য খোলাসা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, ‘নওয়াজ ও রিজওয়ানের জুটিটা দারুণ ছিল। নওয়াজ প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। ওদের দু’জন লেগ স্পিনার বল করছিল, আর আমরা এ সুযোগটাই নিতে চেয়েছিলাম।’
নতুন ভূমিকায় ব্যাট করতে নামার আগে কী পরিকল্পনা করেছিলেন নওয়াজ, ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে সেটা নিজেই জানালেন, ‘তখন আমাদের ওভারপ্রতি ১০ রান প্রয়োজন ছিল। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর সংকল্প করেই মাঠে নেমেছিলাম। ভাবনার জায়গাটা পরিষ্কার ছিল, জায়গামতো বল পেলেই মারব। আর চাপের মধ্যে এই পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে গেছে ভারত। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত।