দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পর টেস্টের ভাগ্য ব্যাটারদের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছিলেন ১৪ মাস পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া পেসার তাসকিন। সেই সঙ্গে ব্যাটারদের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার আহ্বানও করেছিলেন তিনি। পিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল টাইগাররা। পাক বোলারদের তোপে পড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে শঙ্কা জেগেছে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস ৪৩ রানের, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮ সালে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে মাত্র ৩৬ রান। লিটন দাস (০) ও মেহেদি মিরাজ (৯) রানে অপরাজিত আছেন।
আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে তৃতীয় দিনে ৪ রান যোগ করতেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মীর হামজার ওভারে আবরারকে ক্যাচ দিয়েছিলেন জাকির। কিন্তু থার্ড আম্পায়ারের কারণে বেঁচে যান তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় আবরার বল তালুবন্দি করার আগে তা মাটি স্পর্শ করে। জীবন পেয়েও সতর্ক হননি জাকির, আবারও সেই আবরারকেই ক্যাচ দেন। তবে এবার বোলার ছিলেন খুররাম শাহজাদ।
ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে আবারও বাংলাদেশ শিবিরে ধাক্কা দেন খুররাম। এবার তার শিকার হন সাদমান ইসলাম। ইনসুইং বলে অসতর্ক সাদমানের পেছনের স্টাম্প উড়িয়ে নেয় তার ডেলিভারি। এ ওপেনার করেন ১০ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে পথ দেখাতে ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাদমান ফেরার ওভারে তিনিও বোল্ড হন খুররামের বলে। সবচেয়ে বাজেভাবে আউট হন মুমিনুল হক। হামজার বলে ৩০ গজের ভিতরেই মোহাম্মদ আলীকে ক্যাচ দেন তিনি।
আগের ম্যাচে ১৯১ রানের বিশাল স্কোর করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া মুশফিক ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেননি। মীর হাজমার বলে আউটসাইড এজ হয়ে রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন। সাকিবকে এলবির ফাঁদে ফেলেন খুররাম। ৬ উইকেটের ৪টিই তুলে নেন খুররাম শেহজাদ। বাকি দুটি উইকেট পান মীর হামজা।
খুলনা গেজেট/এএজে