খুলনার পাইকগাছা কপিলমুনি সদরের আদি বাজারসহ কপোতাক্ষের চরভরাটি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির অবৈধ দখল নিয়ে সেখানে পাকা ইমারত নির্মাণ, প্রাচীরসহ ঘেরা-বেড়া দিয়ে দখলদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আদি বাজার বর্তমানে কালীবাড়ি-খেঁয়া ঘাঁটের বাইপাস সড়কের জায়গা দখলে নিয়ে সীমাণা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরিফুজ্জামানের নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত শুশান্ত কুমার সাধু (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কপিলমুনি কালীবাড়ী সংলগ্ন খেঁয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দখলদারদের সরকারি সম্পত্তি ছেড়ে দিতে নির্দেশনা দেন। এসময় শুশান্ত সাধুকে ওই জরিমানা করা হয়। এসময় দখলদাররা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় এবং সরকারি সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার শর্তে তাদেরকে ঐ সময় ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আরিফুজ্জামান বলেন, সরকারি জায়গা পুণরুদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযোগে জানানো হয়, উপজেলার কপিলমুনি সদরের কপিলমুনি মৌজায় এসএ ৩৭ নং খতিয়ানের ৮ নং দাগের ০.০৪ একর সম্পত্তির মালিক উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম গাজীর ৩ ছেলে মৃত জি,এম এরফান আলী, জি,এম আবুল কাশেম ও জি,এম শহিদুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাদের একজন জি,এম আবুল কাশেম গাজীর নিকট থেকে তার প্রাপ্য ১.৩৩ শতক জমি খরিদ করে কপলমুনির মৃত হিরন্ময় সাধুর ৪ ছেলে অশোক সাধু, প্রদীপ সাধু, রামপদ সাধু ও মুকুন্দ সাধু সমুদয় ০.০৪ একরসহ সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের ২২৫ দগর আরো অন্তত .২০ একর সম্পত্তি অবৈধ দখলে নিয়ে বসত বাড়ি নির্মাণ পূর্বক দু’পাশে রাস্তার একপাশে পাকা প্রাচীর ও অপর পাশে টিনের ঘেরা-বেড়া দিয়ে জবরদখল করে নিয়েছে। যেকোন সময় তারা সেখানে আরো পাকা ইমারত নির্মাণ করতে পারেন।
ঘটনায় মালিকানা সম্পত্তির একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জি,এম শহিদুল ইসলাম গতবছর ২৪ ডিসেম্বর তারিখে পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে গেল ৮ জানুয়ারি প্রসেস নং ১৩২৯ মাধ্যমে দখলদারদের কারণ দর্শাতে নোটিশ করা হয়। গত ২৩ জানুয়ারি ধার্য্য দিনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দখলদারদের পরবর্তী ২ দিনের মধ্যে বে-দখলীয় সম্পত্তি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিলেও তারা তার নির্দেশ অমান্য করে দখল বজায় রাখেন।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দখলদাররা বলেন, অন্যরা সরকারি জমি দখল করেছেন, তাই তারাও দখল নিয়েছেন। এসময় তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে সরকারি সম্পত্তির দখল ছেড়ে দিতে সম্মতি জানান।
এসময় তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তির সীমাণা নির্দ্ধারণে অতিদ্রুত সার্ভেয়ার দ্বারা মাপ-জরিপের কাজ শুরু হবে। সরকারি সম্পত্তির অবৈধ দখল উচ্ছেদে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/কেডি