খুলনা, বাংলাদেশ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে বাধা নেই : আপিল বিভাগ
  শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

পাইকগাছায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ মামলায় ৫ আসামি আটক, ভিকটিম উদ্ধার

পাইকগাছা প্রতিনিধি

খুলনার পাইকগাছায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ মামলায় ৫ আসামী গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য অন ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কাটিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে কাটিপাড়াস্থ নিজ বাড়ীর সামনে একা পেয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া গ্রামের সুজিত বিশ্বাসের ছেলে মৃতুঞ্জয় বিশ্বাস (২৪) মোটরসাইকেল যোগে তাকে অপহৃরণ করে।

এরপর বহু খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা করে। এ মামলায় সোমবার রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া গ্রামের মৃতুঞ্জয় বিশ্বাস (২৪) এর নিজ বাড়ি থেকে ভিকটিম সহ মৃতুঞ্জয় বিশ্বাস (২৪), পিতা সুজিত বিশ্বাস(৫০), মাতা রিনা বিশ্বাস (৪৫) ও চাচাতো ভাই সঞ্জয় বিশ্বাস(১৮) এবং কাটিপাড়ার আশোক সরকারের ছেলে দিপু সরকার (২০) কে আটক করা হয়।

এদিকে মামলার মূল আসামীসহ তার পরিবার দাবি করছে, গত ১৬ দিন পূর্বে প্রথমবার প্রেমজ সম্পর্কের জেরে তারা বাড়ি ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। কিছুদিন পর তাদের উদ্ধার পূর্বক ওই মেয়েকে বারোআড়িয়া ক্যাম্প পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মেয়ের বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রেমিক মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। এর কিছুদিন দিন যেতে না যেতেই স্বেচ্ছায় পুনরায় দ্বিতীয়বার ভিকটিমসহ তাদের ছেলে সঞ্জয় ফের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে আটককৃতদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী ২০০৩ ধারায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!