ওজন বাড়তে থাকলে দুশ্চিন্তার পরিমাণও বাড়তে থাকে। সুস্থতায় জরুরি সঠিক মাপের ওজন ধরে রাখা। বাড়তি ওজন মানেই বাড়তি কিছু অসুখ-বিসুখের ভয়। খেতে-শুতে-বসতে সব সময়ই ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। নিজের ইচ্ছেমতো ওজন কমানোর চেষ্টা করতে উচিৎ নয়। কারণ ভুলভাল ডায়েটে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো।
এক মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে এ জন্য সবার আগে নিজের মনকে প্রস্তুত করতে হবে। ওজন কমানোর জন্য যা কিছু দরকার, আপনি সেগুলোর জন্য প্রস্তুত। তাহলে সবকিছুই সহজ হয়ে যায়। এর মানে আপনি ইতিমধ্যে অর্ধেকটা এগিয়ে গেছেন।
ভারতের জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ সিমরান বোহরা জানান, প্রতিটি শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেম আলাদা। তাই কার জন্য কোন ডায়েট প্রযোজ্য, এটার জন্য আগে তাঁর বয়স, জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের সিস্টেম বিশ্লেষণ করা জরুরি। তবে সাধারণভাবে কেউ যদি এক মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে চান, এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
১. দুপুরের খাবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে খাবেন। খাবারের আধা ঘণ্টা আগে ২ গ্লাস পানি খাবেন।
২. খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবান। অন্তত ২০ মিনিট সময় নিয়ে খাবেন।
৩. প্রতিদিন আনারস ও আঙুর ফলের রস খাবেন।
৪. দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন।
৫. শর্করার জায়গায় প্রোটিন খাবেন।
৬. আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাবেন।
৭. আট ঘণ্টা গভীর ঘুম।
৮. সকালে খালি পেটে আর বিকেলে চিনি ছাড়া গ্রিন টি খাবেন।
৯. আমরা জানি সালাদ ওজন কমাতে সাহায্য করে। সালাদ তৈরির সময় উপকরণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মেয়নেজ, বাদাম আর মাংস দিয়ে সালাদ খেলে এক বাটি সালাদ থেকেই আমরা ৫০০ ক্যালোরি পেয়ে যাই।
যেসব খাবার খাবেন এড়িয়ে যাবেন
. বার্গার
. চিপস
. আইসক্রিম
. ফাস্ট ফুড
. চকলেট
. ভাত, সাদা আটা–ময়দা
. সোডা
. কেক, ডোনাট
. চিনি, এমন ড্রিংক যেটাতে চিনি আছে
. অস্বাস্থ্যকর তেল, চর্বি
আপনি যদি চার সপ্তাহ খাবারগুলো না খেয়ে থাকতে পারেন, তাহলে আপনার শরীর ধীরে ধীরে এসব খাবারের প্রতি ‘চাহিদা’ কমিয়ে দেবে।
পানীয় পান
ডায়েট করার পর ওজন কমলে স্বাভাবিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতাও কমে যায়। তবে এই পানীয় যেমন স্বাস্থ্যকর, ওজন কমাতে কার্যকর, আবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।
প্রস্তুত: এক গ্লাস পানিতে এক চা–চামচ ব্লেন্ড করা বিটের পেস্ট মেশান। এরপর সেখানে ১ থেকে ৪ চা–চামচ মৌরি দিন। এভাবে এক ঘণ্টা রেখে দিন। দিনে দুইবার এই পানীয় খান। এক সপ্তাহে নিজেই বুঝবেন পরিবর্তন।
নির্দিষ্ট সময়ে, পরিমিত খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলুন। ওজন কমাতে চাইলে আপনার খাবারের পরিমাণ কেমন হবে এবিষয়ে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নিন।
খুলনা গেজেট/ এএজে