মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার (১০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালত জামিনের এ আদেশ দেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা জামিনের স্থায়ী পিটিশন চেয়ে শুনানি করি। রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করছে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (১০ অক্টোবর) দুুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি হাজির হন। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে হাজিরা দেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পরীমণিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ পুনরায় তার জামিনের আবেদন করা হবে।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২২ আগস্ট কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতেই পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। এতদিন পর শুনানির দিন ধার্য করায় পরীমণির আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান। তারা দ্রুত জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির দিন এগিয়ে এনে ১৩ সেপ্টেম্বরের বদলে ৩১ আগস্ট ধার্য করেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম