বাগেরহাটের চিতলমারীতে পরকীয়া ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গৃহবধূর নামে মামলা দায়ের করেছেন তাঁর স্বামী। ওই মামলায় গৌতম হীরা নামের এক প্রতিবেশীকেও আসামী করা হয়েছে। বাগেরহাটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (চিতলমারী) ২৯ সেপ্টেম্বর স্বামী জীবন বালা বাদী হয়ে এই মামলা করেন দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে চিতলমারী থানার পুলিশ পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জীবন বালার আইনজীবি এ্যাড. প্রতাপ মন্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছেড়েছেন বলে স্ত্রী জানিয়েছেন।
উপজেলার খলিশাখালি চরপাড়া গ্রামের আনন্দ মোহন বালার ছেলে জীবন বালা বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে আমার সাথে আমার স্ত্রীর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে আমাদের ৬ বছর বয়সের একটি মেয়ে রয়েছে। বছর খানেক আগে আমাদের গ্রামের গোবিন্দ হীরার ছেলে গৌতম হীরা আমার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় বহুবার সালিস বিচার হয়েছে। কিন্তু সালিস বিচার অমান্য করে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আমার স্ত্রী গৌতম হীরার কথামত পালিয়ে গেছে। আমার স্ত্রী এবং গৌতম হীরা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে। আমি আদালতে মামলা করার পর গৌতম হীরার লোকজন আমাকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
ওই গৃহবধু পরকীয়া ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বামীর অত্যাচার ও নির্যাতন সইতে না পেরে আমি জীবন বালার সংসার ছেড়ে চলে এসেছি। বর্তমানে বাবার বাড়িতে আছি।
গৌতম হীরা বলেন, এলাকায়র কিছু লোক আমার পিছু লেগেছে। আমাকে ওই নারীর সাথে জড়িয়ে মামলা করার কারণে তাঁর সাথে আমার যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে।
এলাকার প্রবীণ সমাজ সেবক রঞ্জন বাড়ই জানান, এই গৌতম হীরা একজন বাজে লোক। তাঁর জন্য এলাকার বহু মানুষের সংসার ভেঙ্গেছে। বহু সালিস বৈঠকে সে ক্ষমাও চেয়েছে। এখন গৌতম হীরা জীবন বালার সংসার চুরমার করছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পরিমল হীরা বলেন, জীবন বালার বৃদ্ধ মা ও বাবা রয়েছে। বউ চলে যাওয়ায় গোটা পরিবার মহা বিপাকে পড়েছে।